যশোরের কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন এর বদলিজনিত কারণে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর (সোমবার) রাতে থানা পুলিশের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে সদ্য বিদায়ীকে ফুলেল শুভেচ্ছো, উপহার সামগ্রী ও সম্মামনা ক্রেস্ট তুলে দেন সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন।
অনুষ্ঠানে কেশবপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মফিজুর রহমান সভাপতিত্ব করেন এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক হাসান মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, থানার সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস, সেকেন্ড অফিসার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, উপ-পুলিশ পরিদর্শক জয় ব্যানার্জী, গোরাচাঁদ দাশ, চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মনির, কম্পিউটার অপারেটর মোঃ তরিকুল ইসলাম, নারী পুলিশ সদস্য সাফিয়া খাতুন।
উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ গত ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল কেশবপুর থানায় যোগদান করেন। তিনি এ থানায় ১ বছর ৭ মাস ধরে পুলিশের কর্ম-দক্ষতা ও সততার সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে তিনি যোগদান করবেন।
আরোও পড়ুন:
যে বুবলীর কাছে ছবিটি খুবই প্রিয়
বাংলাদেশের দুই নেত্রীর প্রিয় দল ব্রাজিল
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সাজিদা ফাউন্ডেশন
উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন সদ্য বিদায়ী সম্পর্কে বলেন, তিনি একজন দক্ষ ও মেধাবী পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি কেশবপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম অক্ষুন্য রেখে ন্যায়-নীতি, সততা আদর্শের সাথে এবং জনবান্ধব অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমি তার পরবর্তী কর্মস্থলের উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি তার পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সদ্য বিদায়ী অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, কেশবপুর উপজেলার মানুষ খুবই শান্তি প্রিয়।এখানে এসে আমি যাহা শিখতে পেরেছি তা অবশ্যই আমার পরবর্তী কর্মস্থলে অত্যন্ত কাজে দিবে বলে আশা করি। আমার চাকুরী জীবনে এখানকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া স্নেহ ও ভালোবাসা আমার জীবনে সুখ-স্মৃতি অম্লান হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন অফিসার হয়ে এই থানায় দায়িত্ব পালনকালে আমার কর্মের ভিতরে অনেক সময় আমি হয়তো কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকতে পারি, অনেকের দাবী হয়তো পূর্ণ করতে পারিনি। তবে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কখনও কারো প্রতি অন্যায় বা কোন ক্ষতি করিনি। সততার সাথে সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। চাকুরীর সুবাদে কারো সাথে যদি খারাপ আচারণ করে থাকি তাহলে আপনারা নিজগুনে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর সততা, ন্যায়-নীতির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ বাহিনীর সুনাম অক্ষুন্য রাখতে পারি, সেক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক ওয়ালিউল ইসলাম, ভালুকঘর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহীম শেখ, ভেরচী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের শেখ, উপ-পুলিশ পরিদর্শক লিখন কুমার সরকার, মিজানুর রহমান, আবুল হোসেন, অনিমেষ বিশ্বাস, বিদূষ বিশ্বাস, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মনির, রবিউল ইসলাম, কাজী রহমত, তরিকুল ইসলাম, মুক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম, অসীম রায় সহ থানা পুলিশে কর্মরত সদস্যবৃন্দ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।